Khoborerchokh logo

গাজীপুরে যুব মহিলালীগ নেত্রী শিল্পী আক্তারের সংবাদ সম্মেলন 307 0

Khoborerchokh logo

গাজীপুরে যুব মহিলালীগ নেত্রী শিল্পী আক্তারের সংবাদ সম্মেলন

শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুর 
 গাজীপুরের টঙ্গীতে হয়রানী মূলক অপহরণ মামলার সুষ্ঠ তদন্তে দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে যুব মহিলালীগ নেত্রী শিল্পী আক্তার। গতকাল ১২ নভেম্বর দুপুরে ১১ঘটিকার সময় ৫০নং ওয়ার্ড শালিকচুড়া এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে যুব মহিলালীগ নেত্রী শিল্পী আক্তার বলেন, গত ৩০ জুন ২০২০ ইং তারিখ বিকাল ৫টায় দত্তপাড়া লেদু মোল্লা রোড হোসেন মার্কেট¯’ মায়ের বাসার আলমারি থেকে আমার ব্যাবহারকৃত ৮ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও নগত ১৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। ঘরে থাকা আলমারির চাবী ঠিকই আছে শুধু গহনা আর টাকা নেই। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার পর জানতে পারি আমার বাড়ীর ভাড়াটিয়া জালাল লেদুমোল্লা রোডের ব্যবসায়ী সবুজের কাছে কিছু গহনা ১০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখে। আমার বাড়ীর ভাড়াটিয়া জালাল মাদকাসক্ত ছিলো সে তালা চাবি তৈরি ও মেরামতের কাজ করতো। চুরির পর থেকে জালাল বাসায় আসতো না। এরপর গত ১লা জুলাই জালাল বাসায় আসলে আমি চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে বিব্রত হয়ে পরে। বাড়ীর ভাড়াটিয়াদের কাছে জালালকে রেখে টঙ্গী পূর্ব থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের পর এস আই সফিউল আমার বাড়িতে এসে জালালকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চুরির ঘটনা স্বীকার করে বলে আশুলিয়ার জিরাবোতে রনির ভাই কাদেরের কাছে চুরি হওয়া গহনাগুলো রয়েছে। এসময় এসআই শফিউল বলেন আমি ওসি স্যরের অনুমতি নিয়ে আসি আপনি আসামীকে নজরদারিতে রাখুন। ওসি অনুমতি পেলে জিরাবোতে গহনা উদ্ধারের জন্য যাবো। পরে গত ৬ই জুলাই ২০২০ইং. তারিখে এস আই সফিউল আমাকে থানায় আসতে বললে, আমি থানায় গিয়ে ওসি আমিনুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানালে সে এস আই শাহীন মোল্লাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে চাইলে আমি বলি এস আই শফিউল যেহেতু ঘটনাটা প্রথম থেকে দেখতেছে তাহলে সেই দেখুক। পরে এডিসি শাহাদাত সাহেবকে বিষয়টি জানালে তিনি ওসি আমিনুল ও এস আই শফিউল সাহেবকে জিরাবো গিয়ে আসামি ধরার অনুমতি দেন। এসময় এস আই সফিউল আমাকে পুনরায় অভিযোগ করতে বলে। আমি যখন রাইটার এর কক্ষে ঘটনাটি বলছিলাম তখন এস আই শাহীন মোল্লা উপস্থিত ছিলো। রাইটার আমাকে বলে আপু এটা অভিযোগ হবে কিন্তু এস আই শাহীন মোল্লা বলেন, এটা জিডি লিখেন, পরে গত ০৬.০৭ ২০২০ ইং তারিখে এবিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করি। পরে জিরাবো এলাকায় গেলে আসামী রনির ভাই কাদের পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
আমি বুঝতে পারলাম না এস আই সফিউল আসামীকে থানায় না নিয়ে গেলেন না। কেনো আমাকেই আবার অপহরণ মামলা দেওয়া হলো? কি কারণে এস আই শাহীন মোল্লা নিজেই আমার বিরুদ্ধে গত ১০ই জুলাই ২০২০ ইং মামলা নিলেন তিনি তো সবই জানতেন? আবার বলা হচ্ছে আমার বাড়ি থেকে ৩ জন কে উদ্ধার করেছেন! যেখানে পুলিশ সবই জানে সেখানে আমি কি করে অপহরণকারী হই। শাহীন মোল্লা লিখেছেন আমি ৩ লাখ টাকা দাবি করেছি ও ১০ হাজার টাকা আমাকে বিকাশে দিয়েছে। আসলে এর সবই ভিত্তিহীন আমার কোন নাম্বার এই টাকা দিয়েছে? কোন নাম্বার থেকে দিয়েছে, কবে কখন? এসআই শাহীন মোল্লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে পাপিয়া খ্যাত বলে যে সকল পোষ্ট করেছেন তা আপনারা অনেকেই দেখেছেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই আমার বিরুদ্ধে কয়টা বিচার হয়েছে, আমার কি খারাপ রয়েছে যে আমি পাপিয়া হয়ে গেলাম। আমার ছোট ভাই মুন্না ও সহকর্মী শিল্পীকে কেন অহেতুক জেলে যেতে হলো। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল, আমার প্রশ্ন এস আই শাহিন মোল্লা আমার বিরুদ্ধে যে সম্মানহানিকর স্টাটাস দিয়েছে এটা কি আইনের সেবকের কাজ ?  প্রশাসনের প্রতি আমার একটাই চাওয়া এই ঘটনাটির যেন পুনরায় সুষ্ঠ তদন্ত করা হয়। আমাদের মতো সাধারন মানুষ যেন আইনের প্রতি আস্থা না হারিয়ে ফেলে। সাংবাদিক ভাইদের সহযোগীতা থাকলে এই ঘটনার রহস্য অবশ্যই উতঘাটন সম্ভব হবে। একজন নারীর আত্মসম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করলে সেটা জীবন মরণের প্রশ্ন হয়ে দাড়াই। আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com